পবিত্র ফাতিহা-ই-ইয়াজদহম
----------------------#রসুল_সঃ_এর_সুন্নত_ই_আদর্শ
----------------------
#ফাতিহা_ইয়াজদহম
১১ই রবিউস সানী অর্থাত রবিউস সানী মাসের এগার তারিখ ( ১০ তারিখ দিবাগত রাত্র ) 'ফাতেহা-ই-ইয়াজদহম' । হয়ত অনেকেই জানেন না ফাতেহা-ই-ইয়াজদহম কী। তাই আজকের এই পোষ্ট লিখার ইচ্ছা করলাম। পাঠকের বিপুলতাই আমার লিখনীর সার্থকতা মনে করব ।
ফাতেহা এর অর্থ দোয়া করা, সাওয়াব রেসানী করা, মোনাজাত করা ইত্যাদি। আর ইয়াজদাহম’ ফারসি শব্দ, যার অর্থ - 'এগার তারিখের ফাতেহা'। মোটকথা ফাতিহা-ই-ইয়াজদাহম বলতে এগারো তম দিনের সাওয়াব রেসানীর উদ্দেশ্যে কর্মসূচীকেই বুঝায়। ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহাম হলো ইমামুল আউলিয়া পীরানে পীর গাউসুল আযম দস্তগীর হজরত আবদুল কাদের জিলানি রহমতুল্লা আলাইহি-এর ওফাত দিবস স্মরণে কর্মসূচী ।
যদিও উনার জীবনী এই পোষ্টের মুখ্য উদ্দেশ্য নয় তার পরও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি উনার পিতা মাতাকে। হজরত আবদুল কাদের জিলানী রহ.-এর বাবার নাম সৈয়দ আবু সালেহ (রহঃ) এবং মায়ের নাম বিবি ফাতেমা (রহঃ)।
হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রহঃ) ৪৭০ হিজরিতে ইরানের জিলান শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাগদাদের মহান পীর হজরত আবু সাঈদ ইবনে আলী ইবনে হুসাইন মাখরুমির (রহঃ) কাছে মারেফাতের জ্ঞানে পূর্ণতা লাভ করেন এবং খেলাফত প্রাপ্ত হন। পবিত্র কুরআন ও আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম-এর আদর্শ ভুলে মানুষ যখন বিপথে পা বাড়িয়েছিল, ঠিক এমনি সময় হজরত বড়পীর (রহঃ) ইসলামের পথে মানুষকে ডাক দিয়েছিলেন। বিপথগ্রস্ত মুমিনদের সঠিক পথের সন্ধান দিয়ে ইসলামকে পূনরুজ্জীবিত করেছিলেন। হিজরি ৫৬১ সনের ১১ রবিউস সানি তিনি ইন্তিকাল করেন।মুমিন মাত্রই প্রতি বছর ১১ রবিউস সানি ফাতেহা-ই-ইয়াজদহম পালন করার মাধ্যমে হজরত বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ).-কে পরম ভক্তি, শ্রদ্ধার সঙ্গে চিরকাল স্মরণ করবে।
হযরত বড়পীরের শানে চিশতীয়া তরিকার ইমাম হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ মঈনুদ্দিন চিশতী (রাহঃ) এর ১টি বাণী
'ইয়া গাউসে মো আযম নুরে হোদা
মোখতারে নবী মোখতারে খোদা' ।
অর্থ:
ইয়া গাউসে আযম! হেদায়েতের নুর,
নবীজীর মনোনীত ও আল্লাহর মনোনীত।
---------------------
ইয়া আল্লাহ্ আমাকে গাউছে পাকের বেলায়তী কদম তলে স্থান দান করুন । আমিন ।