তাওবাতান নাসূহা

তাওবাতান নাসূহা 
#রসুল_সঃ_এর_সুন্নত_ই_আদর্শ
-----------------------------
#_তাওবাতান_নাসূহা
আল্লাহ বলেন, ইয়া আইয়ুহাল্লাজীনা আমানু তূবূ ইলাল্লাহি 'তাওবাতান্ নাসূহা।’
(সুরা তাহরিম, আয়াত - ৮)
অর্থ : হে মুমিনগণ খাস তওবা করো। (নাসুহার মতো)।
জেনে নিন ' তাওবাতান্ নাসূহা ’ বলতে কি রকম তওবা বা নসূহ্ কি রকম তওবা করেছিলেন।
নাসুহ্ একজন পুরুষ লোক ছিল। কিন্তু সে মেয়ে সেজে বাদশাহর মেয়েকে গোসলের কাজে নিয়োজিত ছিল। বাদশাহর মেয়েকে নিজ হাতে গোসল করাতো। বাদশাহ, রাজকন্যা এমনকি রাজদরবারে কেউই জানতো না যে, নাসুহ্ একজন পুরুষ লোক। সবাই তাকে মেয়ে লোক হিসেবে জানতো। একদিন বাদশাহর মেয়ের গলার অলংকার হারিয়ে গেছে। কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সমস্ত দাস-দাসীকে লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। আর মাত্র একটি লোক বাকি আছে। তাকে তল্লাশি করার পর নাসুহকে তল্লাশি করা হবে। নাসুহ্ এখন গভীর চিন্তায় পড়ে গেল। হায় রে, আমাকে যদি তল্লাশি করা হয়, তাহলে আমি যে পুরুষ, তা প্রমাণ হয়ে যাবে বা প্রকাশ হয়ে যাবে। রাজকন্যাকে একজন পুরুষ গোসল করিয়েছে, এ অপরাধে আমার মৃত্যুদণ্ড হবে। এ কথা ভেবে নাসুহ্ হত্যার ভয়ে জীবনের ভয়ে মহান আল্লাহর কাছে মনে মনে খালেস তওবা করতে লাগলো। মাবুদ আমি একজন পুরুষ হয়ে বাদশাহর মেয়েকে গোসল করার দায়িত্ব নিয়ে যে পাপ করেছি, জীবনে আমি আর কোনোদিনও এ পাপ কাজ করবো না। তুমি আমাকে ক্ষমা করো। নাসুহার তওবা আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে গেল। তাকে তল্লাশি করবে এমন সময় একটি পাখি গলার অলংকারটি এনে রাজকন্যার সামনে ফেলে দিল। নাসুহাকে আর তল্লাশি করা হলো না। সেই দিন হতে নাসুহা জঙ্গলে যেয়ে আল্লাহর ইবাদতে নিমগ্ন হলো এবং আর জনসন্মুখে আসেননি এবং আল্লাহর অলিতে পরিণত হয়ে গেল।
(সূত্র : ভেদে মারেফত বা ইয়াদে খোদা)
-----------------------
আল্লাহ্ আমাদেরকে তাওবাতান নাসূহা নসীব করুন।
আমিন।

No comments:

__