‘হাক্কুল্লাহ’ বা আল্লাহর হক।

‘হাক্কুল্লাহ’ বা আল্লাহর হক। 

-----------------------------

#রসুল_সঃ_এর_সুন্নত_ই_আদর্শ

#_হাক্কুল্লাহ বা #_আল্লাহর_হক

মহান রব্বুল আ’লামীন মানুষকে অত্যন্ত সুন্দর ও ভারসাম্যপূর্ণরূপে সৃষ্টি করে এই দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন।আল্লাহ্ বলেন,- “লাক্বাদ্‌ খালাক্ব্‌ নাল ইন্‌সা-না ফী আহ্‌সানি তাক্বওয়ীম্‌” অর্থাৎ, ‘আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে’ (সূরা আত-ত্বীন - ৪)এর অর্থ হচ্ছে মানুষকে এমন উন্নত পর্যায়ের চিন্তা, উপলব্ধি, জ্ঞান ও বুদ্ধি দান করা হয়েছে, যা অন্য কোন সৃষ্টিকে দেয়া হয়নি।এটি মানুষের জন্য বিশেষ করুনা।আল্লাহ পবিত্র কুরআন মজিদে অনেক স্থানে আল্লাহর করুনার স্মরন করার জন্য তাগিদ করেছেন।আল্লাহ তা’লা বলেছেন:হে মানুষ, কিসে তোমাকে তোমার মহামহিম পালনকর্তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল? যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুবিন্যস্ত করেছেন এবং সুষম করেছেন। যিনি তোমাকে তাঁর ইচ্ছামত আকৃতিতে গঠন করেছেন।সুরা আল-ইনফিতার: ৬-৮অন্যত্র বলেন, আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের মায়ের গর্ভ থেকে বের করেছেন। তোমরা কিছুই জানতে না। তিনি তোমাদেরকে কর্ণ, চক্ষু ও অন্তর দিয়েছেন, যাতে তোমরা অনুগ্রহ স্বীকার কর।সূরা আন-নাহল: ৭৮মহান রাব্বুল আ’লামীন আমাদের উন্নত করে সৃষ্টি করে এই দুনিয়ায় একটা উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের পাঠিয়েছেন।প্রতিনিধির কাজ হলো - সে যার প্রতিনিধি, তার আনুগত্য করে চলবে, তার আজ্ঞানুবর্তীতা, তার শাসন এবং তার উচ্চ ক্ষমতাকে মেনে নিয়ে সেই ভাবে চলবে। এই প্রতিনিধিত্বের মর্যাদা মহান আল্লাহ তা’লার কাছ থেকে প্রতিটি মানুষ ব্যক্তিগতভাবে লাভ করেছে। এজন্যে প্রতিটি ব্যক্তি নিজ নিজ স্থানে এই পদমর্যাদার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।বান্দার উপর সবচেয়ে বড় নেয়ামত হল (1) রাসূল (সাঃ)-কে প্রেরণ করা, (2) কিতাব অবতীর্ণ করা (3) ইসলামের হেদায়াত দান করা।সু্তরাং এ সবের প্রফুল্লচিত্তে স্মরণ করা আল্লাহর প্রতি বান্দার কর্তব্য,তথা বান্দার প্রতি আল্লাহ্'র হক।বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা নেয়ামতের সবচে’ বড় শুকরিয়া। এরপর নবী মুহাম্মাদ সাঃ-এর রিসালাতের স্বীকৃতি দান আরেক শুকরিয়া। রসুল সঃ কে মহা রহমত স্বরুপ পেয়েছি এটাও বড় শুকরিয়া অতঃপর ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। আর আল্লাহ প্রদত্ত কোন নেয়ামতই ক্ষুদ্র নয়। আল্লাহ তায়ালা কৃতজ্ঞশীল বান্দাদেরকে নেয়ামত বৃদ্ধি, স্থায়িত্ব ও বরকতের প্রতিশ্রুতি ও গ্যারান্টি দিয়ে বলেন- যদি তোমরা কৃতজ্ঞশীল হও, তবে আমি তোমাদের আরো বাড়িয়ে দেব আর যদি অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয় আমার শাস্তি বড়ই কঠোর। সূরা ইবরাহিম- ৭আল্লাহ্ বলেন,হে বনী আদম! মনে রেখো, যদি তোমাদের কাছে তোমাদের মধ্য থেকে কোন রাসূল এসে তোমাদেরকে আমার আয়াত শুনাতে থাকে, তাহলে যারা আমার নাফরমানী করা থেকে বিরত থাকবে এবং নিজেদের কর্মনীতির সংশোধন করে নেবে, তাদের কোন ভয়ভীতি থাকবে না এবং তারা দুঃখিত ও চিন্তিত হবে না।সূরা আল-আরাফ: ৩৪-৩৫আমাদের মাঝে রসুল (সঃ) এসে গেছেন, নিশ্চিত আর কোন নবী বা রসুল আসবেননা।তাহলে আমরা কার অপেক্ষায় এখনো আল্লাহর নাফরমানী করা থেকে বিরত না হয়ে নিজেদের কর্মনীতির সংশোধন না করে বসে আছি ! এখানে আমরা উপরোক্ত আয়াতের হক্বুল্লাহ্'র খেয়ানত করতেছি।আল্লাহ তা‘আলা বলেন,‘আমি জিন ও ইনসানকে সৃষ্টি করেছি কেবলমাত্র আমার ইবাদতের জন্য’।সুতরাং বান্দার নিকটে আল্লাহর হক হ’ল তাঁর ইবাদত ও আনুগত্য করা।(যারিয়াত ৫১/৫৬)।আল্লাহ্'র সকল হুকুমই আমাদের জন্য ইবাদত।তার মদ্যে কিছু ইবাদতকে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে #_শাহাদাহ্‌ (#_তওহীদ,#_রেসালত#_নামাজ_বা_সালাহ্,#_রোজা,#_হজ্ব ও #_যাকাত । এই সব হচ্ছে হাক্কুল্লাহ্ যা অস্বীকার কারি চীরজাহান্নামী, অনাদায়কারী অবশ্যই শাস্তি ভোগ করিতে হইবে।যদি শির্ক না করে থাকে এবং রেসালতের রজ্জুধরে আল্লাহর কাছে কোমল হৃদয়ে তওবা করে, আল্লাহ্ তায়ালা বিশেষ অনুগ্রহে ক্ষমা করতে পারেন।যেমন (শাফায়াত)।আল্লাহ্ বলেন,আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের জন্য কোমল হৃদয় হয়েছেন পক্ষান্তরে আপনি যদি রাগ ও কঠিন হৃদয় হতেন তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতো।(জাহান্নামের দিকে) কাজেই আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন এবং তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করুন এবং কাজে কর্মে তাদের পরামর্শ করুন। অতঃপর যখন কোন কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলেন, তখন আল্লাহ তা’আলার উপর ভরসা করুন আল্লাহ তাওয়াক্কুল কারীদের ভালবাসেন।আবার বিভিন্ন ইবাদত ও কর্মের দ্বারায় কিছু কিছু ছগিরা গুনাহ মাফ হয়ে থাকে যেমন আল্লাহ বলেন, “যেগুলো সম্পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব বড় গোনাহ গুলো থেকে বেঁচে থাকতে পার। তবে আমি তোমাদের (ছাট) গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেব এবং সম্মান জনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করাব।” (সূরা নিসা: ৩১)রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন:“পাঁচ ওয়াক্ত নামায, এক জুমআ থেকে আরেক জুমআ এবং এক রামাযান থেকে আরেক রামাযান এতদুভয়ের মাঝে সংঘটিত সমস্ত পাপরাশীর জন্য কাফফারা স্বরূপ যায় যদি কবীরা গুনাহ সমূহ থেকে বেঁচে থাকা যায়।” (মুসলিম)আল্লাহ তওবা করার জন্য মানুষকে উপদেশ দিয়েছেন যেন আল্লাহর অনাদায়ী হক ক্ষমা করিয়ে নেয়া যায়।যেমন আল্লাহ্ ইরশাদ করেন,'আপনি আমার বান্দাদেরকে জানিয়ে দিন যে, আমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল দয়ালু'।(আল-হিজর : ৪৯)আর তোমরা নিজেদের পালনকর্তা সমীপে ক্ষমা প্রার্থনা কর।(হুদ : ৩)আল্লাহ দিবা ও রাত্রি পরিমাপ করেন। তিনি জানেন, তোমরা এর পূর্ণ হিসাব রাখতে পার না। অতএব তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমা পরায়ন হয়েছেন। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর।। তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও। তোমরা নিজেদের জন্যে যা কিছু অগ্রে পাঠাবে, তা আল্লাহর কাছে উত্তম আকারে এবং পুরস্কার হিসেবে বর্ধিতরূপে পাবে। তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।আল্লাহর হক আল্লাহ মাপ করবেন,কিন্তু যা #_হাক্কুল_ইবাদ। বা #বান্দার_হক তাহা কখনো তিনি মাপ বা ক্ষমা করবেননা।বান্দার হকের পরিনতি জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।আল্লাহ্ আমাদেরকে সকল প্রকার খেয়ানত থেকে মুক্ত রাখুন। আমিন।---------------------------https://www.facebook.com/groups/173687513131278/permalink/334999357000092/


No comments:

__