মকতুবাত আলফেসানী (রহঃ) নং - 276
ইসলাম-কে জানতে চেষ্টা করুন। Try to know about Islam
মকতুবাত আলফেসানী (রহঃ) নং - 276
শামস তাবরিজি রহঃ
শামস তাবরিজি রহঃ
শামস তাবরিজি রহঃ প্রকৃত না শামস আল দিন মোহাম্মাদ। শামস তাবরিজি ছিলেন একজন ইরানি সুফি সাধক। ইসলামের অন্তনির্হিত রুপ এবং ইসলামের অন্তর্গত আধ্যাত্মিকতা নিয়ে যে ধারায় আলোচনা করা হয়ে থাকে, তাই সুফিবাদ। সুফিবাদ হলো এমন একটি ধারা যেখানে মানুষের আত্মা স্বর্গীয় সত্ত্বার সাথে মিলনে ব্যাকুল, পাগল এবং আত্মহারা হয়ে থাকে। তিনি ১১৮৫ সালে ইরানের প্রসিদ্ধ শহর, যা বর্তমানে পূর্ব আজারবাইজানের রাজধানী, তাবরিজে জন্ম গ্রহন করেন। তা ছাড়াও তিনি জালালউদ্দিন রুমির অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিলেন। জানা যায়, তিনি প্রখ্যাত সুফিসাধক জালালউদ্দিন রুমিকে চল্লিশ দিন শিক্ষা দিয়েছিলেন। তিনি মানুষকে সপ্নের ব্যাখ্যা দিতেন। যার কারনেই তাকে সুফি উপাধিতে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাঁর পিতার নাম ছিলো ইমাম আলা আলদিন, তিনি ছিলেন একজন ইমাম।
তখনকার সময়ে তাবরেজ শহরের খ্যাতি ছিল এ জন্য যে সে সময়ে ইমাম গাজ্জালী, নাজিম উদ্দিন কোবরা সহ অসখ্য সুফি সাধকগণ সেখানে তাদের জীবনের অনেক সময় অবস্থান করেছিলেন । সেখানেই শামসের শৈশব কাটে । এবং সেখানেই তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় । শামস ছিলেন শাফি মাজহাবের অনুসারী।
তিনি সবসময় চটের ছালা পড়ে পাগল বেশে আল্লাহর প্রেমে মত্ত হয়ে ঘুরে বেড়াতেন যাতে লোকে তাকে চিনতে না পারে।
রুমির সাথে যখন শামসেত তাবরিজির পরিচয় হয় তখন তাবরিজির বয়স ষাটের কোঠায়। তাবরিজি একধরনের সমাজ-বিরোধী এবং জেদি মানুষ ছিলেন। তবে বিস্ময়করভাবে তাবরিজি ছিলেন খুবই শক্তিশালী এক আধ্যাত্মিক পুরুষ। তাঁকে লোকে ‘পাখি’ বলে ডাকতেন। তাঁকে নিয়ে মানুষের ছিল বিপুল কৌতূহল। রহস্যঘেরা ছিল তাবরিজির জীবন। এর বড় কারণ, তিনি এক জায়গায় বেশিক্ষণ থাকতেন না। খুব দ্রুত জায়গা বদল করে অন্যত্র চলে যেতেন। তবে তাবরিজি সবসময় একজন প্রভাবশালী সাগরেদ খুঁজতেন। ভাবতেন তাঁর একজন যোগ্য উত্তরসূরি প্রয়োজন। শেষ পর্যন্ত রুমির মধ্যেই সেই গুণ খুঁজে পেলেন তাবরিজি।
যখন রুমির একুশ বছর, তাবরিজি তখন তাঁর শিষ্য হওয়ার ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে জানান। পরে ভেবে দেখলেন, বয়সটা মোটেও তাঁর সাগরেদ হওয়ার জন্য উপযুক্ত নয়। তিনি আরো ষোল বছর অপেক্ষা করলেন।
তাবরিজির সাথে যে নিবিড় এবং গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে তা-ই রুমিকে তাঁর পূর্ণ শিষ্য হওয়ার ব্যাপারে ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করে। একসময় রুমি তাঁর জন্মভূমিতে গুরুকে নিয়ে আসেন। এরপর এক নতুন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁদের।
তাবরিজি ভূমিহীন দরিদ্র ছিলেন। তার ওপর ছিলেন মারাত্মকভাবে সমাজ-বিরোধী। এতটাই মেজাজি ছিলেন যে, শিশুদের কাছে তাবরিজি রীতিমতো আতঙ্ক ছিল। এতকিছুর পরও বেশ স্ববিরোধীভাবে গড়ে ওঠা তাঁর মধ্যে আধ্যাত্মিক শক্তিমত্তা ছিল অসাধারণ। কিন্তু তাঁর কাছে রুমি কেন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল এটি এক বড় প্রশ্ন! এই প্রশ্নের জবাব সবাই জানেনা এবং সবাই বুজবেওনা। কারণ সবাই তো সেই জ্ঞানের পেয়ালায় চুমুক দিতে পারেনি।
প্রথমত, রুমির ব্যক্তিত্ব ছিল সাংঘাতিকরকম আকর্ষণীয়। ধীরে ধীরে তাবরিজির কাছে রুমির ব্যক্তিত্ব একটি বড়সড় ইস্যু হয়ে ওঠে। অপরদিকে তাবরিজির গতিবিধি, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, শ্রেণিগত অবস্থান, ধর্মকর্ম কোনোকিছুই চলমান সমাজের জন্য অনুকূল ছিল না। এমনকি একপর্যায়ে তাবরিজিকে তাঁর ধর্মকর্মের জন্য হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। তাবরিজিকে বলে দেওয়া হয়, এই শহর ছেড়ে চলে যেতে হবে, না হয় হত্যা করা হবে। সবমিলিয়ে তাবরিজিকে নিজের এলাকায় এনে ভয়াবহ ঝুঁকির মুখোমুখি হন রুমি। তবে গভীর সংকটে পড়ে তাবরিজিকে কোনিয়ায় ফিরে যেতে হয়।
সমাজের প্রথাগত সংস্কৃতির ভয়ে দমে যাননি রুমি। কিছুটা কৌশলের আশ্রয় নিতে হয় তাঁকে। তাই সমাজের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে স্বর্ণকারের সাথে যে কৌশল নিয়েছিলেন, একই পন্থা অনুসরণ করলেন রুমি তাবরিজির ব্যাপারেও। সামাজিক সীমাবদ্ধতার তুলনায় রুমি তাঁর শক্তির ব্যাপারে পুরোপুরি সচতেন ছিলেন। সিদ্ধান্ত নিলেন, তাবরিজিকে তাঁর পরিবারে তাঁর সমাজে যে করেই হোক স্থান দেবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী রুমি তাঁর খুবই কাছের সেময়ে কিমিয়াকে শামস তাবরিজির সাথে বিয়ে দেন।
কিমিয়ার তখন পনেরো বছর বয়স। কথিত আছে, কিমিয়ার সাথে বিয়ে হওয়ার পর জীবনে প্রথম তাবরিজি কারো প্রেমে পড়েন। তাবরিজি আরো বেশি বিস্মিত মুগ্ধ হয়ে পড়ে রুমির প্রতি। শিষ্য বানাতে গিয়ে পরিস্থিতিতে পড়ে শিষ্যের কন্যাকে বিয়ের ঘটনা তাঁর জীবনে এক স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে যায়। বিয়ের মাত্র কয়েক মাস পর কিমিয়া হঠাত্ অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। স্ত্রী বিয়োগের বিষয়টি গভীর আঘাত হানে তাবরিজির জীবনে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে রুমি-তাবরিজির সম্পর্কের প্রায় সমাপ্তি ঘটে।
কথিত আছে, কিমিয়ার চলে যাওয়ার খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাবরিজি অদৃশ্য হয়ে যান। যেন বনের পাখি বনেই ফিরে গেল। কিন্তু তাবরিজি আদৌ রহস্যময় হয়ে গেলেন, হারিয়ে গেলেন নাকি কোনো পক্ষ তাঁকে গুপ্ত-হত্যার মাধ্যমে দুনিয়া থেকে চিরতরে অদৃশ্য করে ফেলে। এমন গুঞ্জন বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল তখন। পরবর্তীকালে এ নিয়ে অসংখ্য গবেষণা হয়।
তাবরিজির এভাবে হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যাওয়া নিয়ে বহু গল্প থাকলেও, অনেকে এর বাস্তব কারণ তলিয়ে দেখাটাকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।
মৃত্যু – ১২৪৮ খৈয়, ইরান
কছিদায়ে গাউছিয়া শরীফ
#কছিদায়ে গাউছিয়া শরীফ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~(#রসুল_সঃ_এর_সুন্নত_ই_আদর্শ)
#_কছিদায়ে_গাউছিয়া
আচ্ছালাম আয় নুরে চশমে আম্বীয়া,
আচ্ছালাম আয় বাদশাহে আউলিয়া ।
( প্রত্যেক ছন্দের পর পরবেন )
***********************
(১) ছকানিল হুববু কা'ছাতিল বেছালী,
ফকুলতো লেখামরাতী নাহবী তা আলী ।
(২) ছা' আত্.ওয়া মাশাত লে নাহভী ফিকুউছিন,
ফাহিমুতু বে ছুকরাতী বাইনাল মাওয়ালী ।
(৩) ফাকুল্.তু লেছায়েরীল আকতাবে লুন্নু,
বেহালী ওয়াদখুলু আনতুম রেজালী ।
(৪) ওয়া হান্নু ওয়াশরাবু আনতুম জুনুদী,
ফাছাকীল্ কাওমে বিলি্ ওয়াফি মালালী ।
(৫) শারিবতুম ফুদলাতী মিম্ বা'দে ছুকরী,
ওয়ালা নিলতুম উলুব্বী ওয়াত্তেছালী ।
(৬) মকামুকু-মুল উলা জামআউ ওয়ালাকিন্,
মকামী ফউকাকুম মাজা'লা আ-লী ।
(৭) আনা ফি হজরতিত্ তকরীবে ওয়াহদী ।
ইউছারারেফুনি ওয়া হাছবী জুল জালালী ।
(৮) আনাল বা-জিউ অশ্ হাবু কুল্লে শায়খিন্,
ওয়া মান্ জা - ফির রেজালে উতা মেছালী ।
(৯) কাছানী খিল আতান বেতারাজে আজমিন,
ওয়া তাওয়াজানী বেতীজানিল কামালী ।
(১০) ওয়া আতলা'আনী আলা ছির -রিন কদি - মিন,
ওয়া কাল্লাদানী ওয়া আ'তানী ছুয়ালী ।
(১১) ওয়া ওয়াল্লা-নী আলাল্ আক্ তাবে জানি আন,
ফা হুকমী নাফেজুন ফি কুল্লি হালী ।
(১২) ওয়া লাও আল্ কাইতু ছিররি ফি বিহারিন,
লা ছারাল কুল্লু গাওরান ফি জাওয়ালী ।
(১৩) ওয়া লাও আল্-কাইতু ছিররি ফি জিবালিন,
লা দুক্-কাত ওয়াখ্ তাফাত্ বাইনার রিমালী।
(১৪) ওয়ালাউ আল্-ক্বাইতু ছিররি ফাওক্বা নারিন,
লা খামাদাত্ ওয়ান্-তাফাত্ মিন ছিররি হালী ।
(১৫) ওয়ালাও আল্-কা্বাইতু ছিররি ফাওক্বা মাইতিন,
লা-ক্বামা বিকুদরাতিল্ মাওলা ত্বাআ'লি ।
(১৬) ওয়ামা মিন্ হা শুহুরুন্ আও দুহুরুন,
তামুর্ রু ওয়া তান্ ক্বাদী ইল্লা আতালী।
(১৭) ওয়া তুখ্ বিরুনী বিমা ইয়া'তী ইয়াজ্ রী,
ওয়া তু'লিমুনী ফা আক্ ছির্ আন জিদালী।
(১৮) মুরিদী হীম্ওয়া তীব্ওয়াস্ তাহ্ ওয়া গান্নী,
ওয়া ইফ্আল মা তাশাউ ফাল্ ইছ্মু আলী।
(১৯) মুরিদী লাতাখাফ্ আল্লাহু রাব্বী,
আতানী রিফআতান নিল্ তুল্ মানালী।
(২০) মুরিদী লা তাকাফ্ ওয়াশিন্ ফা ইন্নী,
আযুমুন্ ক্বাতিলুন ইন্ দাল্ ক্বিতালী।
(২১) তুবুলী ফিচ্ছামায়ি ওয়াল আরদি দুক্কাত্,
ওয়া শাউছুচ্ ছাআদাতি ক্বাদ্ বাদালী।
(২২) বিলাদুল্লাহি মুল্ কী তাহ্তা হুকুমী,
ওয়া ওয়াক্তি ক্বাব্ লা ক্বাবলী ক্বাদ্ ছাফা-লী ।
(২৩) নাজারতু ইলা বিলাদিল্লাহি জাম্আন্ ,
কাখার্ দালাতিন্ আলা হুক্ মিত্তিছালী।
(২৪) ওয়া কুল্লু অলিয়্যিন আলা ক্বাদমিন্ ওয়া ইন্নি।
আলা ক্বাদমিন্ নাবী বাদ্ রিল কামালী ।
(২৫) মুরীদী লা তাখাপ ওয়াশিন্ ফাইন্নি
আজুমুন্ কাতেলুন এনদাল কেতালী।
(২৬) দারাছ্তুল ইল্ মা হাত্তা ছিরতু কুতুবান ,
ওয়া নিল্ তুছ্ ছা'দা মিম্ মাওলাল্ মাওয়ালী।
(২৭) ফামান্ ফি আউলিয়া ইল্লাহি মিছ্লী ,
ওয়া মান্ ফিল্ ইল্ মি ওয়াত্ তাছ্ রীফি হালী।
(২৮) কাজা ইবনুর রিফায়ী কানা মিন্নী,
ফা ইয়াছ্লুকু ফি ত্বরিক্বী ওয়াশ্ তিগালী ।
(২৯) রিজালুন্ ফি হাওয়াজিরিহিম্ ছিয়ামুন্ ,
ওয়া ফি জুলামিল লায়ালী কাল্ লাআলী ।
(৩০) আনাল হাছানী ওয়াল মাখদা মাক্বামী,
ওয়া আক্বদামী আলা উনুক্বির রিজালী ।
(৩১) ওয়া আব্দুল ক্বাদিরিল্ মাশ্ হুর ইছ্ মি,
ওয়া জাদ্দী ছাহিবুল আইনিল কামালী।
(৩২) নবী উন হাশেমী মক্কি হেজাজি
হুয়া জদ্দি বিহি নিল তুল মাওয়ালী।
(৩৩) ওয়া ছাল্লু কুলুকুম এয়া আইয়্যুয়ান নাছ,
আলল্ মখছুছে মিন খাইরির রেজালী।
(৩৪) আনাল জিলী মুহিউদ্দীন ইছ্ মী ,
ওয়া আ'লামী আ'লা রা'ছিল জিবালী ।
(৩৫) তাকাব্বলনী ওয়ালাতারদুদ ছু আলী,
অগিসনী ছৈয়্যেদী উন্ জুর বেহালী
(৩৬) ফাহাল্লিল এয়া এলাহী কুল্লা ছায়াবিন,
বেহক্কিল মুস্তফা বদরিল কামালী।
মারহাবা এয়া গাউছে আযম মারহাবা,
মারহাবা এয়া কুতুবে আলম মারহাবা।
----------------------------
__
-
৬ই রজব হযরত খাজা গরীব নেওয়াজ মঈনুদ্দিন চিশতী আজমীরী (রহঃ)-এর ওফাত দিবশ -------------------------- #রসুল_সঃ_এর_সুন্নত_ই_আদর্শ ========...
-
পবিত্র ফাতিহা-ই-ইয়াজদহম ---------------------- #রসুল_সঃ_এর_সুন্নত_ই_আদর্শ ---------------------- #ফাতিহা_ইয়াজদহম ১১ই রবিউস সানী অর্...
-
তাওবাতান নাসূহা # রসুল_সঃ_এর_সুন্নত_ই_আদর্শ ----------------------------- # _তাওবাতান_নাসূহা আল্লাহ বলেন, ইয়া আইয়ুহাল্লাজীনা আমানু তূবূ ই...
-
হাদিসে সাকালাইন #রসুল_সঃ_এর_সুন্নত_ই_আদর্শ #হাদিসে_সাকালাইন বা #দুটি_ভারী_জিনিষ আল্লাহ্ রব্বুলআলামিন বলেন, "এবং সত্যকে মিথ...
-
ইসলামের আলোকে শ্রম ও শ্রমিকের মর্যাদা গত শতাব্দীতে আমেরিকায় শিকাগো শহরে অধিকার আদায়ের একটি মিছিলে গুলি করে হত্য করা হয় কয়েকজন নিরীহ...
-
📚মাজালিসে গাযযালী ✍🏻ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) ৮/ অষ্টম মজলিস পীরের পরিচয় একাদশ রবিউল আউয়াল, বৃহস্পতিবার। দরবার শরীফে প্রকৃত পীরের গুণাবলী সম্বন্...