আহকামে শরিয়ত


আহ্‌কাম
-------------------------
#রসুল_সঃ_এর_সুন্নত_ই_আদর্শ
-------------------------
#আহ্‌কামে_শরিয়ত
ইসলামী শরীয়াতের বিধান মতে মানুষের কাজগুলো দু'ভাগে বিভক্তঃ
[ ১ ] মাসরু (শরিয়াত সম্মত)
[ ২ ] গাইর মাশরু (শরিয়াত পরিপন্থী)


মাসরু বা শরীয়াত সম্মত কার্যাবলী ৬ ভাগে বিভক্ত । যথাঃ 
(১) ফরজ,
(২) ওয়াজিব,
(৩) সুন্নাত,
(৪) মুস্তাহাব,
(৫) মুস্তাহ্‌সান,
(৬) মুবাহ্‌ ।


গাইরে মাশরু
গাইরে-মাশরু বা শরীয়াত পরিপন্থী কাজ গুলো দুইভাগে বিভক্তঃ

১) মাকরুহ
২) হারাম


-----------------------------
বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে 

(১) ফরজ, 
-------
https://www.facebook.com/groups/175477709627957/permalink/295880137587713/

(২) ওয়াজিব, 
------------
https://www.facebook.com/groups/173687513131278/permalink/312229459277082/

(৩) সুন্নাত
---------
https://www.facebook.com/groups/173687513131278/permalink/312614972571864/

(৪) মুস্তাহাব
-------------
https://www.facebook.com/groups/173687513131278/permalink/312618495904845/

(৫) মুস্তাহ্‌সান
--------
https://www.facebook.com/groups/173687513131278/permalink/312627769237251/

(৬) মুবাহ্‌ ।
https://www.facebook.com/groups/173687513131278/permalink/312634515903243/

(১) মাকরুহ
https://www.facebook.com/groups/173687513131278/permalink/313915829108445/
(২) হারাম
https://www.facebook.com/groups/173687513131278/permalink/313918325774862/



. ফরজ
-----------------------------
#রসুল_সঃ_এর_সুন্নত_ই_আদর্শ
-----------------------------
#ফরজ
ফরজ অর্থ অবশ্য পালনীয় । আল্লাহ, তায়ালার অলঙ্ঘনীয় আদেশ । যা দলিলে কাত্‌ঈ (অকাট্য দলীল দ্বারা প্রামানিত) । আল্লাহ তা'আলা সকল মুসলমানের প্রতি তা অপরিহার্য কর্তব্য বলে ঘোষণা করেছেন । যার অস্বীকারকারী কাফির বলে গণ্য হবে । এর তরককারীর জন্য কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে । শরীয়াতের পরিভাষায় এ জাতীয় ব্যক্তিকে 'ফাসিক' বলা হয় । দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, রামাযান মাসের রোযা, বাৎসরিক উদ্বৃত্ত নিসাব পরিমাণ অর্থ সম্পদের যাকাত দান, সামর্থ হলে জীবনে একবার হজ্জ আদায় করা ফরজ । ফরজ দুই প্রকারঃ
#ফরজে_আইন
ফরজে আইন যা প্রত্যেকের উপর ফওজ । এ শ্রেণীর ফরজ কাজ এককভাবে অথবা সমষ্টিগতভাবে আদায় করতে হয়ে । যেমন নামায, রোযা ইত্যাদি ।
#ফরজে_কিফায়া
ফরজে কিফায়া যা সমাজের সকলের প্রতি এ কাজ ফরজ । তবে সমাজের কিছু লোক তা আদায় করলে সকলের পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যাবে । কিন্তু কেউ যদি আদায় না করে, তবে সমাজের সকলেই গুনাহগার হবে । যেমন- জিহাদ, জানাযার নামাজ ।
------------------------------


ওয়াজিব
-----------------------------
#রসুল_সঃ_এর_সুন্নত_ই_আদর্শ
-----------------------------
#ওয়াজিব
ওয়াজিবও ফরজের মত অবশ্য পালনীয় । তবে গুরুত্বের দিক থেকে ফরজের পরে ওয়াজিবের স্থান । বিনা কারনে তা পরিত্যাগ করলে ফাসিক হবে এবং কঠিন শাস্তিযোগ্য অপরাধী বলে বিবেচিত হবে । ওজরবশতঃ ছুটিয়া গেলে পরে ক্বাযা করিতে হইবে । শরীয়াতের ওয়াজিব বিধানকে গুরুত্বহীন মনে করা সরাসরি গোমরাহি । তবে কোনরূপ তাবীলের আশ্রয় নিয়ে অথবা সন্দেহ মূলে ওয়াজিবকে ইনকার (অস্বীকার) করলে কাফির হবে না । যেমন বিতরের তিন রাক'আত নামায । নামাজের প্রত্যেক রাক'আতে সূরা ফাতিহা পড়া ।
-------------------------------


সুন্নাত

-----------------------------
#রসুল_সঃ_এর_সুন্নত_ই_আদর্শ
-----------------------------
#সুন্নাত

যে সকল কাজ রাসুলুল্লাহ (সঃ) বা তাঁহার আসহাবগণ করিয়াছেন তাহাকে 'সুন্নাত' বলে । হাদিস শরিফে বর্নিত আছে
তোমাদের প্রতি অবশ্যকর্তব্য আমার সুন্নাত এবং হেদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতের অনুসরণ করা
সুন্নাত দুই প্রকারঃ
১) #সুন্নাতে_মুওয়াক্কাদাহ্‌
যে সকল কাজ রাসূল (সঃ) ও তাঁর আসহাবগণ সর্বদা আমল করিয়াছেন এবং বিনা ওজরে কোণ সময় ছাড়েন নাই উহাকে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ্‌ বলে; যেমন আযান, ইক্কামত, খতনা, নিকাহ্‌ ইত্যাদি । সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ্‌ আমলের দিক দিয়া ওয়াজিবেরই মত; অর্থাৎ যদি কেউ বিনা ওজরে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ্‌ ত্যাগ করে অথবা তরক করার অভ্যাস করে তবে সে কঠিন গোনাহগার হইবে এবং হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর খাছ শাফায়াৎ থেকে বঞ্চিত হইবে । কিন্তু ওয়াজিব তরকের গোনাহ হইতে কম গোনাহ হইবে এবং কখনও ওজর বশতঃ ছুটিয়া গেলে ক্বাযা করিতে হইবে না । যেমন ফজরের ২ রাকাত সুন্নত নামাজ ।
২) #সুন্নাতে_গাইরে_মুওয়াক্কাদাহ্‌
যে সকল কাজ রাসূল (সঃ) এবং তাঁহার আসহাবগণ(রাঃ) করিয়াছেন তবে ওজর ছাড়াও কোন কোণ সময় তরক করিয়াছেন তাহাকে সুন্নাতে গাইরে-মুওয়াক্কাদাহ্‌ বলে । ইহাকে #সুন্নাতে_যায়েদা বা সুন্নাতে আদীয়াও বলে । ইহা পালন করিলে সওয়াব আছে কিন্তু না করিলে গোনাহ নাই ।
যেমন আসরের চার রাকাত সুন্নত নামাজ।
--------------------------------


মুস্তাহাব
-----------------------------
#রসুল_সঃ_এর_সুন্নত_ই_আদর্শ
-----------------------------
#মুস্তাহাব
যে কাজ রাসূল (সঃ) বা তাঁর আসহাবগণ করিয়াছেন কিন্তু হামেশা বা অধিকাংশ সময় করেন নাই। অন্যকে আমল করিতে উৎসাহ দিয়াছেন কিন্তু তাক্বিদ করেন নাই তাহাকে মুস্তাহাব বলে । মুস্তাহাবকে নফল বা মন্দুবও বলা হয় ।মুস্তাহাব এমন আমল যা পালন না করলে কোনো শাস্তি পেতে হবে না। কিন্তু পালন করা ইসলামের দৃষ্টিতে উত্তম।মুস্তাহাব কাজ করলে সওয়াব ও আল্লাহর দরবারে পুরস্কার আছে।মুস্তাহাব ইবাদতের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত হয়।
----------------------------



মুস্তাহ্‌সান (নফল)

-----------------------------#রসুল_সঃ_এর_সুন্নত_ই_আদর্শ-----------------------------
#মুস্তাহ্‌সান (#নফল)

যে সব কাজ উলামায়ে মুতাকাদ্দিমীন ও মুতাআখ্‌খিরীন (পূর্ববর্তী ও পরবর্তী শরীয়াত বিশেষজ্ঞগণ) পবিত্র কুরআন, হাদীস ও সুন্নাতের আলোকে ভাল বলে গ্রহণ করেছেন । মুস্তাহ্‌সান পালনে সওয়াব আছে, তবে ছেড়ে দিলে কোন গুনাহ নেই।
--------------------

মুবাহ (বৈধ) 

-----------------------------
#রসুল_সঃ_এর_সুন্নত_ই_আদর্শ
-----------------------------
#মুবাহ (#বৈধ) 

সব জিনিসের ব্যাপারেই মৌল নীতি হচ্ছে– তা #মুবাহ(বৈধ)
যে কাজ করাতে কোন সাওয়াব নেই আর না করাতে কোন গুনাহ নেই শরীয়াতের পরিভাষায় সেসব কাজকে মুবাহ্‌ বলা হয় । ইচ্ছা করলে তা করতে পারে, আবার ইচ্ছা করলে তা নাও করতে পারে । মোবাহ্‌ কাজ যথাঃ মাছ মাংস খাওয়া, পানাহার করা, কৃষিকর্ম করা, ব্যবসায় বাণিজ্য করা, দেশ ভ্রমণ করা, আল্লাহ্‌র সৃষ্টি দর্শন করা । মোবাহ্‌ কাজের সঙ্গে যদি ভাল নিয়ত ওভাল ফল সংযুক্ত করা হয়, তবে তাহা সওয়াবের কাজ হইয়া যায় আর যদি মন্দ ফল সংযুক্ত হয় তাহলে তবে তাহা গোনাহের কাজ হইয়া যায় । যথা- যদি কেহ এলেম হাসিল করিবার জন্য, ইসলামের খেদমত করিবার জন্য, জেহাদ ও তবলীগ করিবার জন্য পুষ্টিকর খাদ্য খাইয়া, ব্যায়াম করিয়া শরীর মোটাতাজা ও স্বাস্থ্য ভাল করে, তবে সে ছওয়াব পাইবে । আর যদি কেহ পরস্ত্রী দর্শন করিবার জন্য ভ্রমণ করে বা নাজায়েজ খেলায় যোগদান করে, তবে তাহাতে গোনাহ্‌ হইবে ।
--------------------------


মাকরুহ
-----------------------------
#রসুল_সঃ_এর_সুন্নত_ই_আদর্শ
-----------------------------
#মাকরুহ
মাকরুহ অর্থ খারাপ বা নিন্দনীয়।
মাকরুহ এমন আমল যা পালন করার তুলনায় না করা উত্তম। অর্থাৎ যে কাজ করা জায়েজ কিন্তু না করা উত্তম। মাকরুহ কাজ করলে শাস্তি পেতে হবে না, কিন্তু এ ধরনের কাজ এড়িয়ে যেতে বলেছে ইসলাম।যেমন উদাহরন স্বরুপ বলতে পারি,আসরের ফরজ নামাজের পরে সুর্য ডুবা পর্যন্ত নামাজ (সিজদা) মাকরুহ্ (অঅনুমোদিত)।মাকরুহ্ হারামও নয় আবার হালালও নয় । তবে হালালের সাথে সংঘর্ষিত । এড়িয়ে চলাই উত্তম ।
ইসলামে নিষিদ্ধ ব্যাপারগুলো তিন পর্যায়ের : হারাম, মাকরুহ তাহরীমী,ও মাকরুহ তানজীহী।
মাকরুহ অর্থ খারাপ বা নিন্দনীয়। তাহরীমী অর্থ হারামকারী অর্থাৎ যে মাকরুহ হারামের কাছাকাছি।
যে সকল কাজ নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে কুরআনের সুস্পষ্ট নির্দেশ নেই, তবে কোন কোন হাদীসে এর প্রমাণ পাওয়া যায় তাকে মাকরুহ তাহরিমী বলে।
যে সকল কাজ শরীয়তের দৃষ্টিতে ঘৃণাজনক কিন্তু এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষ কোন নিষেধাজ্ঞা নেই বরং পরোক্ষ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাকে মাকরুহ তানজীহী বলে।
আদর্শ মুসলমানগণ মাকরুহ তানজীহীও পরিত্যাগ করেন।
কিছু কিছু মাকরুহ্ এর কারনে ফরজ ও মাকরুহ্ হয়ে যায় । য়েমন :-
সিয়াম পালন অবস্থায় যেসব কাজ করা অপছন্দনীয়। এ জাতীয় কাজ সিয়াম ভঙ্গ করে না কিন্তু এসব চর্চা করা কখনো কখনো সিয়াম বিনষ্টের কাছাকাছি নিয়ে যায়।
উদাহরন স্বরুপ বলতে পারি , রোজা অবস্থায় অযুর সময় গড়গড়া করে কুলি করা, জোড় দিয়ে নাকে পানি টানা। এতে গলা বা নাক দিয়ে ভিতরে পানি প্রবেশ করার সম্ভাবনা থেকে যায়।
----------------------------
আল্লাহ্ আমাদেরকে মাকরুহ্ থেকে হেফাজত করুন । আমিন ।

হারাম
-----------------------------
#রসুল_সঃ_এর_সুন্নত_ই_আদর্শ
-----------------------------
#হারাম একটি আরবি ইসলামি পরিভাষা। এ দ্বারা নিষিদ্ধ কাজ বোঝানো হয়। মন্দ কাজসমূহের মধ্যে হারামকে সবচেয়ে গুরুতর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদি কোনো কাজ হারামের মধ্যে পড়ে তবে তা যেকোনো ভালো উদ্দেশ্যেই করা যায় না। তবে ব্যক্তি নিরূপায় হয়ে হারাম কাজ করলে তা পাপ হিসেবে গণ্য হয় না। হারাম বিষয়ে কুরআন ও হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া কিছু হারাম বিষয় ইজতিহাদের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। এসকল ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাজহাবে নিয়মের পার্থক্য হতে পারে।
#হারাম কাজ সর্বাবস্থায় নিষিদ্ধ। কতিপয় হারাম কাজের জন্য শরিয়া কর্তৃক শাস্তি নির্ধারিত রয়েছে। এছাড়া ইসলাম অনুযায়ী হারামে লিপ্ত ব্যক্তির জন্য মৃত্যু পরবর্তী সময়ে শাস্তির কথা বলা আছে। হারাম কাজের মধ্যে রয়েছে মানুষ হত্যা, চুরি-ডাকাতি, মদপান, সুদের লেনদেন, ঘুষ আদানপ্রদান, ধর্ষণ, ব্যভিচার, মৃত পশুপাখির মাংস খাওয়া প্রভৃতি।
#হারাম ফরযের ও হালালের বিপরীত । যদি কেহ হারাম কাজ অস্বীকার করে অর্থাৎ যদি কেহ হারাম কাজকে হালাল এবং জায়েজ মনে করে, তবে সে কাফের হইবে । আর যদি বিনা ওজরে হারাম কাজ করে কিন্তু অস্বীকার না করে অর্থাৎ হারামকে হালাল মনে না করে, তবে সে কাফির হইবে না, ফাসেক হইবে, শাস্তির উপযুক্ত হইবে । হারামকারী ইসলামে গুনাহ্গার বলে বিবেচিত।
------------------------------

No comments:

__