কদরের রাতের গুরুত্ব



বিশ রমজান শেষ হলে কদরের রাতের সন্ধান করাটা মুমিন বান্দার জন্য অপরিহার্য । তাই কদর রাতের সন্ধানের জন‍্য আল্লাহর প্রিয় বান্দারা উত্তম উপায় হিসেবে ই'তিকাফ করে থাকেন। কারণ রসূলুল্লাহ্ (সল্লল্লাহু আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) বিশ রমজানের পরে যে কোন রাতে কদরের রাতের তালাশ করতে বলেছেন। এই রাতের মূল‍্য হাজার মাস থেকে উত্তম। সেই হাজার মাস আমাদের হাজার মাসের ন‍্যায় নয়। এমন হাজার মাস সেই বান্দার হাজার মাস, যেই বান্দার দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয়না। তার মানে একজন ন‍্যায়পরায়ন বাদশার হাজার মাস। তিরমিজি শরিফের হাদিসে আছে ন‍্যায় পরায়ন বাদশাহর দোয়া রদ হয়না। সেই বাদশাহর হাজার মাস থেকেও কদরের রাতের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়ে আল্লাহ তা'আলা তার হাবীবকে খুশি করেছিলেন। এর পিছনে রহস্য কি তা জানাও জরুরী।

মহান রব্বুল আলামিন কোরআনুল করীমে ইরশাদ করেন—

"ইন্না আনযালনাহু ফী লাইলাতিল কাদর, ওয়ামা আদরাকা মা লাইলাতুল কাদর, লাইলাতুল কাদরি খাইরুম মিন আলফি শাহর" (সুরা কদর 1-3)

অর্থ– 
"নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে আপনি কি জানেন ? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।"

ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বলেন, ইউসুফ বিন সাদ কর্তৃক বর্ণিত, ইমাম হাসান (রদিয়াল্লাহু আনহু) হযরত মুআবিয়ার নিকট বাইআতের সময় জনৈক ব্যক্তি দাড়িয়ে ইমাম হাসান (রা.) - কে বলল, 'আপনি মুসলমানদের লজ্জিত করলেন'। তিনি বললেন, আল্লাহ তোমার উপর রহম করুন। আমাকে খারাপ বলোনা । কারণ নবী (সল্লল্লাহু আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) এক রাতে বনূ উমাইয়াকে মিম্বরের উপর দেখে বিহবলিত হয়ে পড়েছিলেন। সে সময়- সুরা কদর এবং সুরা কাউসার অবতীর্ণ হয়। "আমি সম্মানিত রাতে কুরআনকে নাযিল করলাম। আর আপনি কি জানেন সম্মানিত রাত কি? সম্মানিত রাত মানে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম রজনী।" আপনার ইন্তেকালের পর হে মুহাম্মদ (সল্লল্লাহু আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) ! বনূ উমাইয়া হাজার মাসের মালিক হবে ! 

কাসেম বলেন, আমি হিসাব করেছি আমির মুআবিয়ার বাইআত থেকে হাজার মাস তাদের রাজত্ব ছিল, একটুকুও কম-বেশি হয়নি ।

#তারিখুল_খোলাফা
#সুরা_কদর
#ইসলাম_ই_মুক্তির_দিশা 


No comments:

__