📚মাজালিশে গাজ্জালী ✍🏻ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
২১-একাবিংশ মাজলিশ
ছাব্বিশে রবিউল আউয়াল, শুক্রবার। আমি আরয করিলাম, হুযুর (সল্লল্লাহু আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) এরশাদ করিয়াছেন- দোযখের আগুনে আমার উম্মতের ভাগ্য এমন যেমন নমরুদের অগ্নিতে ইবরাহীম খলীল (আঃ)-এর ভাগ্য প্রসারিত হইয়াছিল। হযরত পীর ও মুরশিদ বলিলেন- কেয়ামতের দিন পাপী উম্মতদিগকে পাপ হইতে পবিত্র করার জন্য দোযখে শাস্তি দেওয়া হইবে। যেমন নমরুদের অগ্নি দ্বারা হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর অপ্রশস্ততা ইত্যাদি প্রশস্তরূপে পাওয়ার ভাগ্য হইয়াছিল। ঠিক তেমনি দোযখের শাস্তিতে পাপী মোমেনদের পাপ দূর হইয়া যাইবে। এই পাপ বেহেশতে প্রবেশ হওয়ার পক্ষে অন্তরায় বা বাধাস্বরূপ। মোমেনের প্রতি এই আযাব ফযীলতের আযাব, ক্রোধের আযাব নহে যেখানে আল্লাহর মেহেরবানী বিদ্যমান সেখানে পাপ কি করিতে পারে? এই উম্মতকে উম্মতী ফযলী বা মর্যদাসম্পন্ন উম্মত বলা হয়। আল্লাহ তাআলার অনন্ত-অসীম মেহেরবানী এই উম্মতের উপর। পূর্ববর্তী উম্মতদের উপর আল্লাহর এতটা মেহেরবানী ছিল না। পূর্ববর্তী পয়গম্বরগণ নিজ নিজ দেশবাসীকে ইসলাম গ্রহণ করার আমন্ত্রণ জানাইতেন। কেহ ইসলাম গ্রহণ করিয়া মুসলমান হইত আবার কেহ কাফেরই থাকিয়া যাইত। এই মুসলমানই তাহাদের নবীর মৃত্যুর পর ইসলাম ত্যাগ করিয়া কুফরীতে ফিরিয়া যাইত। ইহা হইতেই প্রমাণিত হয় যে, এই উম্মতের প্রতি আল্লাহর যতটা মেহেরবানী, পূর্ববর্তী উম্মতদের উপর ততটা ছিল না। তুমি কি লক্ষ্য করিয়া দেখ নাই যে, যেদিন আমাদের প্রিয় নবীর নিকট অহী অবতীর্ণ হইল এবং দ্বীন ইসলাম প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হইল, সেদিন হইতে তাঁহার আমন্ত্রণে দলে দলে লোক ইসলাম গ্রহণ করিয়া মুসলমান হইতে আরম্ভ করিল। ইহার পর শত শত বৎসর চলিয়া গিয়াছে। কিন্তু মনে হয় তিনি যেন আজও আমাদের মধ্যে বিদ্যমান। এমনিভাবে কেয়ামত পর্যন্ত মুসলমানের সংখ্যা বাড়িতেই থাকিবে। হুযুর (সল্লল্লাহু আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম)-এর জীবদ্দশায় মাত্র কয়েক হাজার লোক ইসলাম গ্রহণ করিয়াছিলেন। আর আজ পৃথিবীর সর্বত্র ইসলাম ধর্মের পতাকা উড্ডীন হইয়াছে। উম্মতে মুহাম্মদীর ইহা কত বড় সৌভাগ্য!
আল্লাহ তাআলা অন্যভাবেও উম্মতে মুহাম্মদীর প্রতি অতি করুণাময়। আল্লাহ তাআলা কলমকে নির্দেশ দিলেন লিখ। নূহের উম্মত অমুক পাপ করিবে আর আমি তাহাদিগকে অমুক শাস্তি দিব। মূসার উম্মত অমুক অমুক নাফরমানী করিবে আর আমি এমনভাবে শাস্তি দিব। লুতের সম্প্রদায় এইরূপ অন্যায় করিবে আমি এইরূপ শাস্তি দিব। এইভাবে সমস্ত পয়গম্বরের উম্মতের পাপের তালিকা করিয়া পাশে শাস্তির তালিকাও কলমকে লিখিয়া রাখার নির্দেশ দিলেন।
তারপর খাতেমুন নাবীঈন সাইয়্যেদুল মুরসালীন (সল্লল্লাহু আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম)-এর নাম আসিল। আল্লাহ নির্দেশ দিলেন, লিখ, উম্মতে মুহাম্মদী পূর্ববর্তী উম্মতদের কৃত সকল পাপ করিবে। কলম এতটা লিখিবার পর অপেক্ষায় রহিল দেখি আল্লাহ ইহাদের জন্য কি কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেন। আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিলেন- এই উম্মত পাপী আর আল্লাহ ক্ষমাশীল। আল্লাহ তাআলা আরও এরশাদ করিয়াছেন- আল্লাহ তাআলা সমস্ত পাপ ক্ষমাকারী।
হুযুর (সল্লল্লাহু আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) বিদায় হজ্জ ও দুই তিনবার ওমরা করার পর আরাফাত ময়দানে। উপস্থিত হইলেন। সেখানে গিয়া উম্মতের জন্য দোআ করিলেন। আল্লাহ এরশাদ করিলেন-
হে নবীবর! আপনার পাপী উম্মতদিগকে ক্ষমা করুন এবং তাহাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
হুযুর (সল্লল্লাহু আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) দোআ করিলেন, প্রভু! আপনার হক তো আপনি ক্ষমা করিয়াছেন। কিন্তু বান্দার হকও তো আপনি ক্ষমা করিতে পারেন। হকদারের যে হক আমার উম্মত নষ্ট করিয়াছে এবং যাহা সে পূর্ণ করিতে পারে নাই, আপনার রহমতের ভাণ্ডার হইতে উহা আদায় করিয়া ঋণীকেও ঋণমুক্ত করিতে পারেন। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করিলেন, তাহাও আমি ক্ষমা করিয়া দিলাম।
পীর ও মুরশিদ বলিলেন, না চাহিতেই যখন তিনি দেন তবে চাহিলে কি না দিবেন? তিনি বাদশাহ, ইচ্ছা করিলে দোজাহানই এক ফকীরকে দান করিয়া দিতে পারেন।
একদিন হযরত জিবরাঈল (আঃ) হুযুর (সল্লল্লাহু আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট আয়াত- "অতি শীঘ্রই আপনার প্রভু আপনাকে দান করিবেন এবং আপনি সন্তুষ্ট হইবেন" লইয়া আগমন করেন। হুযুর (সল্লল্লাহু আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) মহান প্রভুর এই বাণী শ্রবণ করিয়া আনন্দে আত্মহারা হইয়া বলিলেন, আল্লাহ তাআলা যতক্ষণ পর্যন্ত আমার পাপী উম্মতদিগকে ক্ষমা না করিবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমি সন্তুষ্ট হইব না।
কোরআন শরীফে মোমেনদের জন্য যত সুসংবাদ দেওয়া হইয়াছে, তাহাতে কোন প্রকার শর্ত নাই। বরং সাধারণ ওয়াদা। আর সমগ্র কোরআনে যত আযাবের সংবাদ মোমেন পাপীদের জন্য দেওয়া হইয়াছে তাহা সবই আল্লাহর ইচ্ছার সাথে আবদ্ধ। অর্থাৎ আল্লাহ ইচ্ছা করিলে সবই ক্ষমা করিয়া দিতে পারেন। এমন নহে যে, এই আযাব অবশ্যই হইবে। যেমন- আল্লাহ তাআলা বলেন-
"যাহাকে ইচ্ছা আল্লাহ স্বীয় নূর দ্বারা হেদায়াত করেন। ইহা আল্লাহর মেহেরবানী, তিনি বড় মেহেরবান।" ইহা তাঁহার ইচ্ছাধীন, ইচ্ছা করিলে ক্ষমা করিবেন আবার ইচ্ছা করিলে শাস্তি দিবেন। এই ভয়েই শিরদাঁড়া ভাঙ্গিয়া যায়। কিন্তু যেকোন অবস্থায়ই তাঁহার পবিত্র দরবার হইতে নিরাশ হওয়ার কোন কারণ নাই। আল্লাহ তাআলা বলেন- "আল্লাহর রহমত হইতে কখনও নিরাশ হইও না"। আমি পাপী ! আমি সীমাহীন পাপী। কিন্তু তিনি নিরাশ না হওয়ার যে বাণী এরশাদ করিয়াছেন, তাহাই আমার একমাত্র ভরসা। একদিন এক গ্রাম্য আরব দরবারে নববীতে উপস্থিত হইয়া আরয করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা কাহাকে হিসাব লইতে আদেশ দিবেন? এই প্রশ্ন শুনিয়া হুযুর (সল্লল্লাহু আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) চুপ করিয়া রহিলেন। আল্লাহ তাআলা সংবাদ দিলেন, হে বন্ধু ! আমিই আমার বান্দাগণের হিসাব-কিতাব গ্রহণ করিব। অন্য কাহারও যিম্মায় এই দায়িত্ব দিব না। হুযুর (সল্লল্লাহু আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) মনে মনে ভাবিলেন, আমার উম্মতের হিসাব-কিতাব গ্রহণের, দায়িত্ব যদি আমাকে দিতেন তবে তাহাদের পাপের কথা আমি ব্যতীত অন্য কোন লোক জানিতে পারিত না। এরশাদ হইল, "হে বন্ধু! আপনার উম্মতের হিসাব আমিই গ্রহণ করিব, যাহাতে আপনিও তাহাদের পাপের বিষয় অবগত হইতে না পারেন।" প্রেমিক যদি পাপে আবদ্ধ হয় এবং শরাবের প্রতি আসক্ত থাকে, কিন্তু সেই পাপও যদি ক্ষমা পাইতে পারে তবে আর ভয় কিসের? তদুপরি প্রেমাস্পদ যদি পর্দার অন্তরালে থাকে। হুযুর (সল্লল্লাহু আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম)-এর মৃত্যুক্ষণ ঘনাইয়া আসিলে আল্লাহর নিকট আরয করিলেন, প্রভু! আমার উম্মতদিগকে আমি কাহার আশ্রয়ে রাখিয়া যাইব? এমন সময় হযরত জিবরাঈল (আঃ) আগমন করিয়া বলিলেন, ইয়া রাসূলে খোদা (সল্লল্লাহু আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম)! আল্লাহ বলেন, আপনার উম্মত আমার দায়িত্বে রাখিয়া আমার নিকট চলিয়া আসুন। তাহা হইলে আপনার পরও আপনার ধর্ম কায়েম থাকিবে। কেয়ামত পর্যন্ত এই ধর্মকে আমি স্থায়ী করিয়া রাখিব। প্রতিদিন ইসলাম বিস্তার লাভ করিবে এবং মুসলমানের সংখ্যা বাড়িতে থাকিবে।
অতঃপর হুযুর (সল্লল্লাহু আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম) সাহাবাগণকে ডাকিয়া এরশাদ করিলেন, আমার পর আল্লাহ তোমাদের মধ্যে আমার স্থানে থাকিবেন। তাঁহার নিকট তোমাদিগকে সোপর্দ করিয়া গেলাম।
দাজ্জাল আবির্ভূত হইয়া সমস্ত দুনিয়া ভ্রমণ করার পর মক্কা ও মদীনা অভিমুখে রওয়ানা হইবে। এই সময় হযরত ঈসা (আঃ) আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক চতুর্থ আসমান হইতে পৃথিবীতে অবতরণ করিবেন এবং অভিশপ্ত দজ্জালকে হত্যা করিবেন। অতঃপর তিনি চল্লিশ বৎসর পর্যন্ত হুযুর (সল্লল্লাহু আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম)-এর প্রতিনিধিত্ব করিবেন। দুনিয়াবাসীকে হুযুর (সল্লল্লাহু আলাইহে ওয়াআলিহি ওয়াসাল্লাম)-এর ধর্মে দীক্ষিত করিবেন। দুনিয়ার কোথাও কাফের, ইহুদী ও খৃস্টান অবশিষ্ট থাকিবে না। কেহ লুকাইয়া থাকিতে চেষ্টা করিলেও ইট, পাথর এবং গাছ তার স্বরে চিৎকার করিয়া বলিবে: এই ব্যক্তি ইহুদী, ইহাকে হত্যা কর, এই ব্যক্তি খৃস্টান, ইহাকে হত্যা কর। এই ব্যক্তি কপট, ইহাকে হত্যা কর। ইহার পর হযরত ঈসা (আঃ) ইনতেকাল করিবেন। তাঁহার মৃত্যুর পর মুসলমানের সংখ্যা কমিতে কমিতে একেবারে শূন্যের কোঠায় আসিয়া দাঁড়াইবে। বর্ণিত আছে, যতদিন পর্যন্ত দুনিয়ায় একজন লোকও কালেমা বলার মত থাকিবে ততদিন কেয়ামত হইবে না। যখন একটি লোকও কালেমা তাওহীদ পাঠ করার মত থাকিবে না তখন আল্লাহ তাআলা হযরত ইসরাফীল (আঃ)-কে বলিবেন, এইবার মহাপ্রলয়ের শিঙ্গা বাজাও। হযরত ইসরাফীল (আঃ)-এর প্রথমবার শিঙ্গা বাজানোর সাথে সাথে সমস্ত সৃষ্টি বিলীন হইয়া যাইবে। দ্বিতীয়বার শিঙ্গা বাজানোর পর আবার সব কিছু জীবিত হইয়া উঠিবে। সোবহানাল্লাহ! আল্লাহ কত বড় কুদরতের অধিকারী! একই শিঙ্গা একবার ফুঁকিলে সব কিছু ধ্বংস হইয়া যাইবে। আবার দ্বিতীয়বার ফুঁকিলে সব কিছু পুনর্জীবিত হইবে।
আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, হযরত ! কেয়ামত কি বস্তু এবং কাহাকে বলে? এরশাদ করিলেন, প্রথমবার শিঙ্গা ফুঁকার নাম কেয়ামত এবং দ্বিতীয়বার ফুঁকার নাম হাশর। এই দুইবার শিঙ্গা ফুঁকার আওয়ায প্রতিটি প্রাণীর কানে এমনভাবে পৌঁছিবে যেন প্রত্যেকের কানেই একটি করিয়া শিঙ্গা বাজানো হইতেছে। দুইবার শিঙ্গা ফুঁকার মধ্যে চল্লিশ বৎসরের ব্যবধান হইবে। এই চল্লিশ বৎসর সকলেই মৃতাবস্থায় থাকিবে। ফেরেশতাদের মৃত্যু মানুষের মৃতুর ন্যায় হইবে না। তাহাদের মৃত্যু ঘুমের ন্যায় হইবে। দৈত্য-দানব এবং শয়তানের কেয়ামত ব্যতীত আর মৃত্যু নাই; বরং প্রতিদিন ইহাদের সংখ্যা বাড়িতেই থাকে। কিন্তু জ্বিনদের জন্ম-মৃত্যু আছে। হযরত সোলায়মান (আঃ)-এর সময় দানব, দৈত্য এবং শয়তান মাত্রারিক্ত অবাধ্য হইয়া পড়িয়াছিল। তিনি ভাবিলেন, আমার জীবদ্দশায়ই যখন ইহারা এত অত্যাচারী হইয়া উঠিয়াছে, আমার পর ইহারা মানুষকে শান্তিতে থাকিতে দিবে না। তাই তিনি সকলের হাতে-পায়ে বেড়ি লাগাইয়া দ্বীপে দ্বীপে কয়েদ করিয়া রাখিলেন। কোন কোন কিতাবে লিখিত আছে, শেষ যমানায় ইহারা মুক্ত হইয়া যাইবে। লোকদের ক্ষতি সাধন করিবে। কাহারও উপর একবার চড়াও হইয়া বসিলে কোন মতেই আর দূর করা যাইবে না। আজকাল দেখা যায়, দেও-দৈত্য কাহারও উপর চড়াও হইলে কোন মতেই দূর করা সম্ভবপর হইয়া উঠে না।
প্রথম- কাহারও উপর অত্যাচার না করা। অত্যাচার-উৎপীড়ন খুবই খারাপ কাজ। দ্বিতীয়- ইসলামের শুকরিয়া আদায় করা। তৃতীয়- ঈমান চলিয়া যাওয়ার ভয় করা। এই গুণাবলী কাহারও মধ্যে দেখিলে মনে করিবে, তাহার পরিণাম আল্লাহ চাহে ত অবশ্যই ভাল হইবে। যদি কেহ অত্যাচারী হয়, মুসলামান হওয়ার শুকরিয়া আদায় না করে এবং ঈমান চলিয়া যাওয়ার ভয় না থাকে, তবে মনে করিবে তাহার পরিণতি খুবই ভয়াবহ। আল্লাহর শুকরিয়া যে, আমাদের এই যুগে আমরা শুনি নাই আমাদের প্রিয় নবীর উম্মতের মধ্যে অমুক ব্যক্তির পরিণতি খারাপ হইয়াছে।
পক্ষান্তরে বনী ইসরাঈলের বুযুর্গদের মধ্যে- যেমন- বালআম বাউরা এমন এক বুযুর্গ ছিল, যে আকাশের দিকে মাথা উত্তোলন করিলে আরশ এবং মাথানত করিলে তাহতাসারা দেখিতে পাইত। তাহার পরিণতি ভয়ানক খারাপ হইয়া গিয়াছিল।
আশেকের দল মায়ের উদর হইতে আরম্ভ করিয়া সারাজীবন কঠিন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে অতিবাহিত করেন। কারণ, তাহারা জানেন না পরিণতি কি হইবে? যদি ভাল হয় তবে প্রতিশ্রুত সকল কিছুই তাঁহারা পান। আর যদি খারাপ হয় এবং ভাগ্যের লিখিত বস্তু প্রকাশ পায়, তবে তাহাতে ইহকাল পরকাল উভয়ই নষ্ট হইয়া যাইবে। অর্থাৎ কঠোর শাস্তি ভোগ করিতে হইবে।
----------
No comments:
Post a Comment